
শহীদ তিতুমীর একাডেমী, পশ্চিম দাশড়া, মানিকগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি জেলার মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। সরাসরি বিদ্যালয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিবছরই পরীক্ষা দিয়ে কৃতিত্বের সাথে ছাত্রছাত্রীরা উত্তীর্ণ হয়ে থাকে।
ভূমিকা:
রাজধানী ঢাকার অদূরে অনন্য সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ তিতুমীর একাডেমি।
নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা এবং জীবন ঘনিষ্ঠ, কর্মমুখী ও যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। শিশুকে শৈশব কাল থেকেই জ্ঞানার্জনে আগ্রহী করে তুলতে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ কাজটি সুপরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে দক্ষ এবং যোগ্য মানব সম্পদ সৃষ্টির জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে শহীদ তিতুমীর একাডেমি।
আগামী বছরগুলোতে আমাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় এ প্রতিষ্ঠানও শিক্ষার জাতীয় উদ্দেশ্যকে সার্বিকভাবে সার্থক করবে। উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদেরকে গড়ে তুলতে এই প্রতিষ্ঠান সদা প্রস্তুত। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সহ-পাঠক্রমিক শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিভার বহুমুখী বিকাশ সাধনে বিশ্বব্যাপী যে নতুন ধারণার উন্মেষ ঘটেছে তা বাস্তবায়নে শহীদ তিতুমীর একাডেমি প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের ব্যবস্থা করেছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
* শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে কর্মমুখী ও যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদান।
* শিক্ষার্থীদের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিসরে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
* বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উন্নত মানব সম্পদ তৈরি করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চ শিক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা।
অবস্থান ও অবকাঠামোঃ
মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে সুন্দর ও সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা সমন্বিত পরিবেশে শহীদ তিতুমীর একাডেমি এর অবস্থান। এই এলাকায় খেলার মাঠসহ গড়ে উঠেছে শহীদ তিতুমীর একাডেমি। নিশ্চিত করা হয়েছে মনোরম, নিরিবিলি ও শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ।
উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
* জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তিতে যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম।
* মনো-বৈজ্ঞানিক ও Audio Visual পদ্ধতির সার্থক প্রয়োগে সুসজ্জিত শ্রেণিকক্ষ।
* অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান এবং প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর নিয়মিত মনিটরিং।
* ড্রইং, হস্তলিখন, আবৃত্তি, অভিনয় ইত্যাদি বিষয়ে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
* শিক্ষার অনুপম (স্বাস্থ্য উপযোগী ও কোলাহল মুক্ত) পরিবেশ ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার সুবিধা।
* আর্ট স্কুল, আধুনিক বিজ্ঞানাগার, সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব ও ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব সুবিধা।
* শারীরিক ও মানসিক বিকাশের স্বার্থে শিশুদের উপযোগী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ব্যবস্থা।
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি:
শহীদ তিতুমীর একাডেমি। শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি দেশের আর্থ-সামাজিক চাহিদা ও শিশুর গ্রহণ ক্ষমতার সাথে সঙ্গতি রেখে সাজানো হয়েছে। "জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড" কর্তৃক প্রণীত পাঠ্যসূচির সাথে আধুনিক, সৃজনশীল ও জীবনধর্মী শিক্ষার কৌশলগত পাঠক্রম পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
পাঠদান পদ্ধতি:
* মুখস্থ নয় বরং অনুধাবন করার ক্ষমতা সৃষ্টি, নিরানন্দ পাঠের পরিবর্তে জীবনধর্মী এবং আনন্দঘন পাঠদান ব্যবস্থার অনুসরণ।
* ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে এ দু'টি বিষয়ে নির্ধারিত ক্লাস ছাড়াও অতিরিক্ত অনুশীলন ক্লাসের ব্যবস্থা।
* পরীক্ষা ভীতি দূর করার জন্য নিয়মিত ক্লাস টেস্টের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা।
* আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার ও ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের মাধ্যমে হাতে-কলমে শিক্ষা।
* শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ (Participation Method) এর মাধ্যমে পাঠ সহজবোধ্য করে উপস্থাপন ও শ্রেণি কক্ষেই শিক্ষা অর্জন সম্পন্ন।